ঢাকার মিরপুর বিআরটিএ’র মালিকানা বদলের শাখাটি এখন যেন ঘুষবাজদের জন্য এক বৈধ কারখানা। এর মূল নিয়ন্ত্রক হিসেবে উঠে আসছেন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) শেখ মোঃ রাজীবুল ইসলাম। দীর্ঘ বছর ধরে রাজনৈতিক পরিচয়কে ঢাল বানিয়ে, তিনি রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করে ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য গড়েছেন। ‘সেবা’ বলতে এখানে বোঝানো হয় জনগণের শোষণ ও হয়রানি। রাজীবুল ইসলামের অফিস এখন ঘুষ ও দালালের নির্ভর এক দুর্গ, যেখানে টাকা না দিলে কোনো কাজ হয় না। সাধারণ মানুষকে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে ফেলে কাগজপত্রের মধ্যে আটকে রাখা হয়, আর দালালদের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়। অফিসে দালালদের আনাগোনা অবাধে, যেখানে সবুজ, জিকু বাবু, সজীব, রাশেদ সোহেল, মিলন প্রমুখ নতুন দালালদের নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। প্রতিটি গাড়ির মালিকানা বদলের জন্য তারা হাজার হাজার টাকা নিয়ে থাকে, যার অধিকাংশই রাজীবুল ইসলামের পকেটে যায়।
রাজনৈতিক ছায়ায় এই দুর্নীতি আজ একটি জাল সৃষ্ট করেছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা হলেও, রাজীবুল ইসলাম নিজেকে সব কিছু থেকে উপরে মনে করেন। আওয়ামী লীগের পরিচয় কাজে লাগিয়ে বছরের পর বছর দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন, কোনো জবাবদিহিতা নেই। তার নামে ও স্ত্রীর নামে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট, প্লট ও দামি গাড়ি থাকা সত্ত্বেও তার সরকারি বেতন সেই দামী সম্পদের সাথে মেলেনা। আইন অন্ধ নাকি প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতা, প্রশ্নটা এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। এই দুর্নীতিবাজকে রক্ষা করতে এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনও নীরব। নিয়মিত অনুসন্ধান করলে তার ব্যাংক হিসাব, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এবং ক্যাশ লেনদেন থেকে কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য সামনে আসবে।
সচেতন মহল দাবী করছেন, শেখ মোঃ রাজীবুল ইসলাম শুধু ঘুষখোর নয়, তিনি বিআরটিএ’র দুর্নীতির সিন্ডিকেটের শীর্ষ নেতা। তাকে দ্রুত অপসারণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত। প্রধান উপদেষ্টা, দুদক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে।
(পর্ব ১) বিস্তারিত শীঘ্রই...
সম্পাদক ও প্রকাশক : আলমাস হোসাইন, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: খান টাওয়ার নিচতলা বাইপাইল মোড়া আশুলিয়া সাভার। মোবাইল: ০১৭৭৫০৮০৬২০
দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম