
বাংলাদেশের ক্রাইম ডেস্ক:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দানের সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা দলটির রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল প্রাঙ্গণে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “মানুষ বিএনপির কাছে তাদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে। তারা বিশ্বাস করে, বিএনপি যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আগামী দিনে দেশের পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা বিএনপির রয়েছে, অবশ্যই একটি নির্বাচনের মাধ্যমে। এজন্য জনগণ বিএনপির কাছ থেকে ভালো কিছু এবং পরিবর্তনের প্রত্যাশা করে। আমাদের সেই শুরুটা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে বহুল প্রত্যাশিত একটি পরিবর্তন এসেছে। ওই দিন দেশের মানুষ যেন বুক ভরে শ্বাস নিতে পেরেছে।”
নিজেকে কার্ডিয়াক রোগী উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “আমি একজন কার্ডিয়াক রোগী। আমার যখন অ্যাটাক হয়, শারীরিক চাপ কমানোর পর যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসি, ঠিক সেরকম ওই ৫ আগস্ট দেশের মানুষের বুক ভরে শ্বাস নেওয়ার অনুভূতি পেয়েছি।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, “বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের জন্য আকাঙ্ক্ষিত। প্রত্যেক মানুষ একটি ভালো পরিবর্তন চাইছে, যেন সামনে দিনগুলো উন্নত হয়। তবে বাস্তবতা হলো সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু ভালো হবে না, এটা মেনে নিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।”
দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু নিজেদের মধ্যে সেই প্র্যাকটিস পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে না। তবে ড্যাবের এই কাউন্সিল প্রমাণ করবে যে সব দল একরকম নয়।”
তিনি বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকাও স্মরণ করে বলেন, “তিনি এই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার পরাজিত করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের এখন সেই ধারাবাহিকতাকে ধরে রাখতে হবে এবং গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো মজবুত করতে হবে।”
তারেক রহমানের এই বক্তব্য আগামী দিনের রাজনীতিতে বিএনপির সম্ভাবনা ও নেতৃত্ব বিষয়ে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।