
আলমাস হোসাইন :
গাজীপুরের কাশিমপুরে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ঢাকা জেলা প্রতিনিধি রুবেল আহমেদ প্রিন্সসহ তিনজনের উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কেপিজে হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয়ে সাংবাদিক প্রিন্সসহ তিনজন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের খানাখন্দ ও যানজট পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিলেন সাংবাদিক রুবেল আহমেদ প্রিন্স। এ সময় হঠাৎ কয়েকজন বখাটে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তরুণীদের উত্যক্ত করতে শুরু করে। সাংবাদিক প্রিন্স দৃশ্যটি দেখে এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করলে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
অল্প সময়ের মধ্যে তারা অন্তত ২০-৩০ জনের একটি দল মব সৃষ্টি করে লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সাংবাদিক প্রিন্সের উপর অতর্কিতভাবে হামলে পড়ে তারা। হামলায় তার ডান হাত ভেঙে যায় এবং তার সঙ্গে থাকা আরও দুজন গুরুতর আহত হন।
আহত সাংবাদিক প্রিন্স জানান, “ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় হঠাৎ করে ২০ থেকে ৩০জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রাণভয়ে কেপিজে হাসপাতালের ভেতরে আশ্রয় নিলে সেখান থেকেও টেনে হিচড়ে বের করার চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরিফ ব্যাপারীর ভাতিজা রিমেল ও তার অনুসারীরাই এ হামলার সাথে জড়িত।
খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিকরা দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
- এদিকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন—সাংবাদিকরা সমাজের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে কাজ করেন। তাঁদের উপর এ ধরনের হামলা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”