
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন শাখার সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে গোপন সূত্রে পাওয়া অভিযোগ ও অনুসন্ধানে প্রতিসামঞ্জস্য পাওয়া গেছে, যা সাধারণ মানুষ ও লাইসেন্সপ্রার্থী ভুক্তভোগীদের জন্য বড় ধরণের সমস্যা তৈরি করেছে।
সূত্র জানায়, জিয়াউর রহমান শাখার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন প্রক্রিয়ায় দালালদের প্রাধান্য দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ যিনি সরকারি নিয়ম মেনে আবেদন করেছেন, তারা বারবার অফিস থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে দালালদের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় জিয়াউর রহমান সরাসরি দালালদের সুবিধা দিয়েছেন এবং ঘুষ নেওয়ার মাধ্যমে সরকারি সেবা দখল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এক ভুক্তভোগী বলেন,
“আমরা সকল প্রক্রিয়া ঠিকঠাক মেনে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু দালাল ছাড়া কোনো কাজ হয়নি। যারা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে, তারা সহজেই লাইসেন্স পান, অন্যদের শুধু ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।”
অভিযোগ অনুযায়ী, জিয়াউর রহমান:
-
লাইসেন্স ইস্যু প্রক্রিয়ায় দালালদের নিয়ন্ত্রণ দিয়েছেন।
-
সাধারণ আবেদনকারীদের লম্বা সময় ধরে অপেক্ষায় রাখা হয়েছে।
-
সরকারি ফি ও প্রক্রিয়াকে অকার্যকর করে দালালদের মাধ্যমে লাইসেন্স বিক্রি বা ইস্যু করানো হয়েছে।
-
ভুক্তভোগীদের ওপর প্রশাসনিক বাধা সৃষ্টি করেছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, জিয়াউর রহমান সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে শাখার অন্যান্য কর্মকর্তা বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করছেন।
প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান,
“যদি সরকারি কর্মকর্তা বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে এতদিন কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা জনগণের জন্য উদ্বেগজনক।”
ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন, জিয়াউর রহমানের কারণে সরকারি লাইসেন্স প্রক্রিয়া ভুক্তভোগীদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। দালালদের মাধ্যমে লাইসেন্স ইস্যু প্রক্রিয়া চালু থাকায়, সাধারণ মানুষ প্রশাসনিক অবহেলা ও দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন।