
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ২,০২০ পিস ইয়াবা ও এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর স্থানীয় বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম বাদল ওরফে ‘টুন্ডা বাদল’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ইয়াবার বড় অংশ ও আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার।
ঘটনাপ্রবাহ
৮ আগস্ট রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মাসুমের ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে আটক করে। তার কাছ থেকে ২,০২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদল আটক ব্যক্তি ও ইয়াবা নিজের হেফাজতে নেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাদল প্রথমে বলেন, “২০০০ নয়, ১০০০ পিস ইয়াবা আছে।” পরে আবার মন্তব্য করেন, “১০০০ বা ৫০০০—যা-ই হোক, সাংগঠনিকভাবে বিচার হবে।”
থানায় জমা কম পরিমাণ
পরদিন দুপুরে বাদল যাত্রাবাড়ী থানায় গিয়ে মাত্র ৪৯০ পিস ইয়াবা জমা দেন। থানার এসি নিজে ইয়াবা গুনে দেখেননি, শুধু এসআই ফরাদকে দায়িত্ব দেন। এ সময় কেউই প্রশ্ন তোলেননি, কোনো রাজনৈতিক নেতার কাছে মাদক রাখার আইনগত অনুমতি আছে কিনা।
ওয়ারি বিভাগের ডিসি পরে জানান, কোনোভাবেই নেতার ব্যক্তিগত জিম্মায় মাদক রাখা যায় না। অভিযোগ রয়েছে, বাদল বাকি ইয়াবা ও আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিতে ৩ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
পেছনের কাহিনি
স্থানীয় সূত্র জানায়, উদ্ধার হওয়া ইয়াবার মালিক যাত্রাবাড়ী থানার ৪৯ নং ওয়ার্ডের ১০ নং আউটফল ইউনিটের বিএনপি নেতা সপন। ইয়াবা বহন করেছিল আবুল হোসেন ও মিজান, আর গ্রহণ করেছিল রাসেল।
যাত্রাবাড়ী দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের জন্য কুখ্যাত। মাসুম নামে ওই এলাকার এক ডিলার আগে কিছু আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় ব্যবসা চালালেও বর্তমানে কিছু বিএনপি নেতার সহায়তায় তা অব্যাহত রেখেছে।
প্রশ্ন রয়ে গেছে
উদ্ধার ২০২০ পিস, জমা ৪৯০—বাকি ইয়াবা কোথায় গেল এবং আটক মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি পেল কীভাবে, তা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।