
স্টাপ রিপোর্টার:পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার দাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের অতিরিক্ত দায়িত্ব সচিব শ্যামল বড়ালের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তিনি সরকারি বরাদ্দ ও তহবিলের অর্থ অপব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন। এই অভিযোগে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে, এবং শ্যামল বড়ালের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগীসহ সাধারণ জনগণ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শ্যামল বড়াল ভান্ডারিয় সদর গৌরিপুর ইউনিয়নের সচিব থাকাকালীন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। বিশেষ করে রাস্তা নির্মাণ, সেচ প্রকল্প ও অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, সরকারি বরাদ্দে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হলেও, ঘনিষ্ঠ মহল ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এসব তহবিল থেকে লাভবান হচ্ছে। বর্তমানে তিনি দাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের অতিরিক্ত দায়িত্বে সচিব হিসেবে কর্মরত।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত অতিরিক্ত দায়িত্ব সচিব শ্যামল বড়ালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি বলেন আমি এখানে নতুন এসেছি। তবে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান টুলু ডাকুয়া ও তার সহযোগী মিরাজের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে শুনেছি।
সূত্র মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠলেও তা ধামাচাপা পড়ে যায়।
এ বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুদক সূত্রে জানা গেছে, শ্যামল বড়াল পূর্বে মিরাজ ও মহারাজের দুর্নীতির প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন, শ্যামল বড়ালকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।
দুর্নীতির এই অভিযোগে দাওয়া ইউনিয়নে নেমেছে চাঞ্চল্য, এবং সচিবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
লোকমুখে এখন একই কথা, গৌরিপুর ইউনিয়ন খেয়ে এখন আসছে দাওয়া ইউনিয়ন খেতে।